আপনার চাহিদা কি (Rent a car Dhaka) রেন্ট এ কার ঢাকা বা দেশের অন্য যেকোনো স্থান থেকে? জানতে চাচ্ছেন রেন্টাল কারের সার্ভিস ও বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে? তবে আপনি উপযুক্ত স্থানেই এসেছে। কারন এখানে আলোচনা করা হবে – রেন্ট এ কার ঢাকা সহ দেশের সকল স্থানের সম্পর্কে।
বাংলাদেশে যাতায়াতের জন্য সড়কে চলিত যানবাহনের প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশে লঞ্চ, ট্রেন, প্লেন থাকলেও আমরা সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি সড়কে চলিত যানবাহনে চড়তে। তবে সব সময় সকল ধরনের স্থানে বাস বা রিক্সা করে যাওয়া সম্ভব হয় না। আজকাল অনেকেই যেকোনো ভ্রমণে, ঘুড়তে যেতে, বিয়ে অনুষ্ঠানে, অফিসিয়াল প্রোগ্রামে, বিশেষ ইভেন্টে গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়াটাকেই শ্রেয় মনে করে।
এই ব্যাপারটা কেন্দ্র করেই দেশে গড়ে উঠেছে অনেক এজেন্সি যারা প্রদান করে Rent a Car সার্ভিস। যার মানে এই যে, আপনি ব্যক্তিগত ভাবে গাড়ীর মালিক না হলেও যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে যাওয়ার জন্য ভাড়া করতে পারবেন পুরো একটি গাড়ি। এবং এই সার্ভিসটির নামই হচ্চে রেন্ট-এ-কার সার্ভিস।
রেন্ট এ কার ঢাকা (Rent a car Dhaka) সার্ভিস কি আসলেই লাভজনক?
অবশ্যই! কেনোনা এখানে আপনি পাচ্ছেন পুরো একটি গাড়ি যার মাধ্যমে আপনি যেতে পারছেন যেকোনো স্থানে যেকোনো সময়ে। তাছাড়া সাধারণত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে যাতায়াত খরচ যা হয় তার থেকে তুলনামূলক ভাবে খরচ কিছুটা কমই হয় যদি গাড়ী ভাড়া নেয়াকে বেছে নেন।
তবে সব সময় যে খরচ কম হবে তা কিন্তু নয়, যেহেতু গাড়ি ভাড়া দেয়া হয় সময়, গাড়ির ধরন ও লোকেশনের উপর নির্ভর করে তাই খরচের বিষয়টি স্পেসিফিক ভাবে বলা যায় না। কারন আপনি একই স্থানে ভিন্ন দুই ধরনের গাড়ির নিয়ে গেলে খরচ হবে দুই রকম। তবে এটুকু বলা যায় বর্তমানে জনপ্রিয় Uber, Pathao এর মত প্লাটফর্মের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে যা খরচ হবে সেই তুলনায় Rent a Car সার্ভিসে খরচ খুব কম।
আচ্ছা, এতো সময় ধরে জানাচ্ছিলাম রেন্ট এ কার সার্ভিস সম্পর্কে। এবার জানাবো ঢাকাসহ পুরো দেশ জুড়ে রেন্ট এ কার সার্ভিস প্রদানকারী এজেন্সি সম্পর্কে যাদেরকে আমাদের এনালাইসিসে এখন অব্দি বেস্ট সার্ভিস প্রোভাইডার মনে হয়েছে। এবং তাদের নাম হচ্ছে “নাঈম রেন্ট-এ-কার “
নাঈম এন্টারপ্রাইস এজেন্সির পরিচিতি – রেন্ট এ কার সার্ভিস ঢাকা
২০০৯সাল থেকে ২০২৪ সাল এখন অব্দি রেন্ট এ কার সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এজেন্সিটি। নাঈম রেন্ট-এ-কার একটি স্বনামধন্য প্রথম সারির কার রেন্টাল কোম্পানি যারা বিশ্বস্ততার সাথে তাদের গ্রাহকদের সেরা সেবাটি প্রদান করে যাচ্ছে।
এখান থেকে যেকোনো ধরনের গাড়ি ভাড়া নেয়া যাবে খুব সহজেই।
- হাইচ
- নোহা
- এক্স নোহা
- মাইক্রোবাস
- প্রাইভেট কার
- জিপ গাড়ি
- এম্বুলেন্স
- ছোট বড় বাস
- কোস্টার
- পিকাপ
- কভার ভ্যান
সহ আরো অনেক গাড়ি। তাছাড়া সহজ পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে প্রোফেশনাল সার্ভিস প্রদানে নাঈম রেন্ট-এ-কার কোম্পানিটির বেশ সুনাম রয়েছে। এবার জেনে নেয়া যাক কোম্পানিটির বেশ কিছু ফিচার্স ও সার্ভিস গুলোর সম্পর্কে।
নাঈম এন্টারপ্রাইস এজেন্সির ফিচার্স ও সার্ভিস সমূহ
১) প্রতিটি ট্রিপের আগে ও পরে পুরো গাড়ি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করা হয়। করোনা কালীন সময়ে উক্ত ব্যাপারে ছিলো বেশ সচেতেন, এবং শুধু করোনা কালীন সময়ই নয় – আপনার কাছে গাড়ি হস্তান্তর করার আগ মুহুর্তেও গাড়িটি সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দেয়া হবে যা আপনি স্বয়ং সামনে থেকেও দেখে নিতে পারবেন।
২) আপনার সুবিধার্থে ঘন্টা ভিত্তিক, দিন ভিত্তিক ও মাস ভিত্তিক সময়কাল ধরে গাড়ি ভাড়া নেয়ার মত স্পেশাল সার্ভিসটি দিচ্ছে নাঈম রেন্ট-এ-কার কোম্পানি।
৩) বিয়ে থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে যাতায়াতের জন্য একক চুক্তিতে বিভিন্ন ধরনের ভাড়ি ভাড়া প্রদান করা হয়ে থাকে।
৪) যে সকল স্কুল কলেজের নিজস্ব বাস নেই তাদের জন্য পিক ও ড্রপ সার্ভিস দেয়া হয়।
৫) রোগিদের জন্য যত্ন সহকারে এয়্যম্বুলেন্স ভাড়া ও হরতাল কালীন সময়ে নিরাপদ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের জন্য গাড়ি সুব্যবস্থা করে রেখেছে নাঈম রেন্ট-এ-কার কোম্পানি।
৬) তাছাড়া থাকছে যেকোনো স্থান থেকে অন্য স্থানে বাসা বদলের জন্য পিকআপ ভাড়া প্রদানের ব্যবস্থা।
বেশ কিছু তথ্য প্রদান করা হলো নাঈম রেন্ট-এ-কার কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেনো আপনি নাঈম রেন্ট-এ-কার কোম্পানিকেই বেছে নিবেন রেন্ট এ কার ঢাকা এড়িয়ার সার্ভিস প্রোভাইডারদের মধ্য থেকে? জানুন সেই সম্পর্কে
কেনো নাঈম এন্টারপ্রাইস এজেন্সি থেকে গাড়ি ভাড়া নেবেন?
পর্যাপ্ত পরিমাণের গাড়ি স্টকে থাকার কারনে শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে যাওয়ার জন্য আপনার কাঙ্খিত গাড়িটি পেয়ে যাবেন নাঈম রেন্ট-এ-কার কোম্পানির কাছে।
কোম্পানিটিতে রয়েছে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত ড্রাইভার যাদের সর্বনিম্ম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ড্রাইভিং করার এবং গাড়িতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণের সিকিউরিটির ব্যবস্থা। যার ফলে আপনার যাত্রা হবে মঙ্গলময়।
৩) ঘরে বসে বা যেকোনো স্থানে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে গাড়ি বুক করা ও অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদানের ব্যবস্থা থাকছে এখানে।
৪) নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরেও যদি এক্সট্রা কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে তা প্রদান করা হয় এক্সট্রা কোনো চার্জ ছাড়াই।
৫) গাড়িতে প্রয়োজনীয় গ্যাস/তেলের খরচ আপনি পূর্ব নির্ধারিত মূল্যের মধ্যেই পরিশোধ করতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে On the spot এ থেকে উক্ত খরচ দিতে পারবেন সেই সুবিধাটিও তারা দিচ্ছে।
৬) গাড়িতে কোনো ধরনের অসুবিধা হলে ২৪ ঘন্টা একটিভ ভাবে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা থাকবে।
৭) গাড়ির ড্রাইভার অসঙ্গতিমূলক কোনো আচরণ করলে, বা ধূমপান করলে অথবা যেকোনো ধরনের সিরিয়াস সমস্যায় তাদের ফোনে অবগত করলে তাৎক্ষনিক গাড়ি বদলানোর ব্যবস্থা করবে। তাছাড়া প্রতি গাড়িতে সেটাপ করা আছে GPRS.
তাহলে বুজতেই পারছেন কতটা স্ট্রোং কারন রয়েছে রেন্ট এ কার ঢাকা সহ দেশের যেকোনো স্থানে যাতায়াতের জন্য কেনো নাঈম রেন্ট-এ-কার কোম্পানিকে বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে।
গাড়ি ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে শর্ত সমূহ
সকল ক্ষেত্রের মতই এখানেও কিছু শর্ত রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে। তবে শর্ত গুলো তেমন কোনো কঠিন কিছু কথা নয় যা আপনার পক্ষে গ্রহনযোগ্যতা পাবেনা। খুবই সহজ ও যুক্তিসংগত কিছু শর্ত রয়েছে এবং সেগুলো হলো –
গাড়ির জন্য নির্ধারিত সময়ের থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারের ক্ষেত্রে কিছু সময় কম্পিমেন্টরি হলেও যদি বেশি সময় ব্যয় হয় তবে প্রতি ঘন্টার জন্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চার্জ ধার্য করা হবে গাড়ি ও স্থান ভেদে।
গাড়ির কাঠামোগত ক্ষতি সাধন হয়ে পারে এমন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। গাড়ির মধ্যে অসামাজিক কোনো কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া এবং রাষ্ট্রীয় আইনের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনো ম্যাটারিয়াল গাড়িতে তোলা যাবে না। তাছাড়া গাড়ির ধারন ক্ষমতার বাইরে কোনো অতিরিক্ত বস্তু গাড়িতে তোলা যাবে না। এই সকল শর্ত গুলো সামাজিক ও মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে তৈরি করা।
নাঈম এন্টারপ্রাইস কোম্পানির প্রাইজিং
একটি গাড়ির ভাড়া কত হবে সেটা বেশ কিছু Criteria এর উপর নির্ভর করে থাকে। যার কারনে স্পেসিফিক তথ্য জানা ছাড়া সেগুলো সঠিক ভাবে বলা যায় না। তাছাড়া কিছু কন্ডিশন ও গাড়ির গঠনের উপরেও একই গন্তব্যের স্থানে ভাড়ার পার্থক্য দেখা যায়। উক্ত বিষয় গুলো বিবেচনা করেই স্পেসিফিক কোনো প্রাইজ কোনো কোম্পানি প্রাইজিং সম্পর্কে পুর্বে বলে না। আপনার যদি প্রাইজ সংক্রান্ত বিষয় জানার প্রয়োজন হয় তবে নিচের ধাপে দেয়া প্রশ্নের উত্তর গুলো নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
কিভাবে নাঈম এন্টারপ্রাইস এজেন্সি থেকে গাড়ি ভাড়া নেয়া যায়?
রেন্ট এ কার ঢাকা সহ দেশের যেকোনো স্থানে ভ্রমণের জন্য ভাড়া নেয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব খুজে জানাতে হবে কোম্পানির কাছে এবং আপনার চাহিদা মোতাবেক সার্ভিস প্রদানে যত অর্থ খরচ হবে তারা সেটি জানিয়ে দিবে। প্রশ্ন গুলো হচ্ছে –
- আপনার বর্তমান স্থান ও গন্তব্যের স্থান কি
- আপনি কত সময়ের জন্য গাড়ি ভাড়া করতে যাচ্ছেন
- ড্রাইভারের খরচ একক ভাবে বহন করবেন নাকি একত্রে প্যাকেজ অনুযায়ী
- গাড়ির তেল/গ্যাসের খরচ একক ভাবে বহন করবেন নাকি প্যাকেজ অনুযায়ী
- যাতায়াত সংক্রান্ত টোল ও অন্যান্য খরচ একক ভাবে বহন করবেন নাকি প্যাকেজ অনুযায়ী
উপরে উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর প্রদানের মাধ্যমে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন আপনার ভ্রমণে কত খরচ হতে যাচ্ছে। উক্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গাড়ি বুকিং সংক্রান্ত কাজ করতে নিম্মে দেয়া অপশন গুলোতে যোগাযোগ করুন।
পরিশেষে, এই ছিলো নাঈম এন্টারপ্রাইস ঢাকা সহ পুরো দেশ জুড়ে গাড়ি ভাড়া দেয়া সার্ভিস কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত। যেখানে আলোচনা করেছি Rent a Car বিষয়টি কি এবং অন্যতম সেরা রেন্ট এ কার সার্ভিস প্রদানকারী কোম্পানির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আশা করছি উক্ত আর্টিকেলের বিষয় বস্তু ধারনের মাধ্যমে যেকোনো ভ্রমণের জন্য সঠিক উপায়ে গাড়ি ভাড়া করে পারি জমাতে পারবেন আপনার গন্তব্য স্থানে। আপনার জন্য শুভকামনা।